ভুয়ো বিলের বিপাকে পড়ে এখন পথে বশার দিকে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার জয়রামপুর এলাকার এক হতো দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে অসহায় পরিবার।
মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার জয়রামপুর এলাকায় দুই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালান হতদরিদ্র হোসনারা বিবি। স্বামী আলোম সেখ প্রায় ১২ বছর ধরে নিখোঁজ। এক চিলতে ঘরে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকেন হোসনারা বিবি। বাড়িতে দুই মেয়ে বিড়ি বেধে কোন রকমে তাদের সংসার টুকু চালান। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংজোগ আছে নিখোঁজ আলোম সেখের নামে। একদিন সব ঠিকঠাকই চলছিল।
হটাৎ করে তাদের সংসারে আধার নেমে আসে গতকাল অথ্যাৎ রবিবার। বিদ্যুৎকর্মী এসে তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে জান বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল। জার পরিমান ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৭ টাকা। এতদিন পর্জন্ত তাদের এক চিলতে কুঠিরে একটি মাত্র পাখা ও দুটি লাইট জালিয়ে যেখানে বিদ্যুৎ বিল আসতো ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মত। কিন্তু হটাৎ করে এই বিপুল পরিমাণ ভুয়ো বিলের বোঝা চেপে যাওয়ায় এখন কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে বাড়ির মালিক মা হোসনারা বিবির। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ, দুই মেয়ে বিড়ি বেধে যে টুকু পয়সা উপার্জন করে তা দিয়েই তাদের মায়ের চিকিৎসা ও সংসার টুকু চলে কোন রকমে। এখন কি করবেন মা ও দুই মেয়ে বুঝে উঠতে পারছেন না।
হোসনারা বিবির মেয়ে সাইনারা খাতুনের বলেন বিদ্যুৎ বিল দিতে না পাড়লে হয়তো বিদ্যুৎ সংজোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । কিন্তু বিদ্যুৎ সংজোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা যে আরও নিরুপায় হয়ে যাবে পরিবার, কারন রাতেই বেলায় এই বিদ্যুৎতের আলোতেই তো তারা বিড়ি বাধার কাজ করেন এবং সেই টাকা দিয়েই চলে সংসার। সেই আলো না থাকলে তো পথে বসতে হবে বলে আশংকায় দিন কাটছে হোসনারা বিবি ও তার পরিবারের। এখন এই ভুয়ো বিল মুকুবের জন্য প্রশাসনের দিকেই পথ চেয়ে অসহায় পরিবার।