চন্দ্রযান ৩-র সাফল্যে হিংসায় জ্বলছে চিন, ISRO-কে টেক্কা দিতে মহাশূন্যে মানুষ পাঠাবেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। চাঁদের মাটি ছুঁতে এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এই সাফল্যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে চিন। তড়িঘড়ি মহাকাশে মানুষ পাঠানো কথা ঘোষণা করেছে বেজিং। এবার সেই মিশনের বহু তথ্য ফাঁস করলেন প্রবীণ চিনা নভশ্চর ইয়াং লিও। মঙ্গলবার মহাকাশে মানুষ পাঠানো নিয়ে চিন সরকার পরিচালিত গুয়াংজু ডেইলি সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই মহাকাশচারী লিও জানান, ২০২৭-২৮ সাল নাগাদ মানববাহী যান মহাশূন্যে পাঠানো হবে। সাতজন নভশ্চরকে নিয়ে রওনা হবে ওই মহাকাশযান। “ভবিষ্যতে চন্দ্র অভিযানের জন্য নতুন প্রজন্মের মহাকাশযান ব্যবহার করব আমরা। নভশ্চরদের নিয়ে উড়ে যাবে সেই যান। মহাশূন্যে গভীর অনুসন্ধান চালাতে যানটিকে ব্যবহার করব আমরা।” সংবাদমাধ্যমকে বলেন লিও। উল্লেখ্য়, বর্তমানে চিনের মানববাহী মহাকাশযান প্রকল্পের উপপ্রধান (ডিজাইনার) পদে রয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিনের হাতে রয়েছে শেনঝো মহাকাশযান। যা তিনজন নভশ্চরকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দিতে সক্ষম। মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফেরাতে এর মধ্যে একটি ক্যাপসুলও রয়েছে। এবার এর চেয়েও বড় মানববাহী মহাকাশযান তৈরি করতে চলেছে চিন। ২০০৩-তে প্রথমবার মহাকাশে মানুষ পাটিয়েছিল বেজিং। শেনঝো-৫ মহাকাশযানে চড়ে সেবার মহাশূন্যে পাড়ি দেন প্রাক্তন ফাইটার পাইলট লিও। সফলভাবে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর রাতারাতি দেশবাসীর কাছে নায়কের সম্মান পান তিনি।
আরও পড়ুন – সচিনই পাকিস্তানে সীমার কাছে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রেমিকের হাতের ট্যাটু দেখে নিষেধ…
গত ১৭ জুলাই চিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন নভশ্চর লিও। সেখানেও মানববাহী মহাকাশযানের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই মিশনে সাফল্য পেতে ইতিমধ্যেই আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছি। মহাকাশযানের রিটার্ন ক্যাপসুলের টেস্টিংয়ে সাফল্য মিলেছে। ফলে ২০২৭-২৮ সালে Man Mission পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।”
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )