উত্তরপ্রদেশ- উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার মীরগঞ্জে এক স্তব্ধ করে দেওয়া ঘটনা সামনে এসেছে। সন্তান না হওয়ায় এক মহিলা তার স্বামী ও এক তান্ত্রিকের ষড়যন্ত্রে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযোগ, তার স্বামী তাকে সন্তান লাভের আশ্বাস দিয়ে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়, যেখানে তাকে মাদক খাইয়ে দুই অপরিচিত ব্যক্তি ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী জানান, প্রথমে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর প্রতি স্বাভাবিক আচরণ করলেও সন্তান না হওয়ায় নির্যাতন শুরু হয়। তার শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। সেই সুযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আসাদনগরের এক তান্ত্রিকের বাড়িতে। সেখানেই ঘটে বিভীষিকাময় ঘটনা।
তাঁর অভিযোগ, তান্ত্রিক দাবি করেন সন্তান পেতে হলে ‘বিশেষ পদ্ধতিতে’ চিকিৎসা দরকার, এবং সেই আড়ালে চলে নারকীয় যৌন নির্যাতন।
বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী যখন প্রতিবাদ করেন, তখন শাশুড়ি ও ননদ তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি শেষে বাবার বাড়িতে ফিরে পুলিশের দ্বারস্থ হন।
মীরগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত তান্ত্রিক গিরধারী, স্বামী ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস আর পিতৃতান্ত্রিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে আর কত নারী?
