গঙ্গাসাগর মেলা খতিয়ে দেখতে গেলেন ফিরহাদ হাকিম । সমস্ত ব্যবস্থা কতটা পাকা করা হয়েছে সরেজমিনে তা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে গঙ্গাসাগর মেলা খতিয়ে দেখতে গেলেন ফিরহাদ হাকিম । আগত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা কেমন হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে গেলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
করোনা সংক্রমনের মধ্যে গঙ্গাসাগরের মত এত বড় উৎসব কে যথাসম্ভব সংক্রমণ ভাবে সম্পন্ন করা রাজ্য সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। মহামান্য হাইকোর্টে সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই 100% না করা সম্ভব হলেও যাতে 90% মানুষকে সমানভাবে গঙ্গাসাগর মেলায় ধর্মীয় আচার আচরণ করে ফিরতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
ইতিমধ্যে একদিকে যেমন রাজ্য প্রশাসন অন্যদিকে সংসদ নেতা মন্ত্রীরা ও বিভিন্ন বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য এই মুহূর্তে গঙ্গাসাগর মেলা বিভিন্ন এলাকায় রয়েছেন বলে এদিন জানালেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, রাজ্যের তথা দেশের বিরোধী দল বিজেপি কাজের থেকে সমালোচনা নিয়েই বেশি পারদর্শী হয়ে উঠেছে। মহামান্য হাইকোর্ট যখন গঙ্গাসাগর নিয়ে রায় দান করলেন শুনানি চালাচ্ছিলেন তখন কেন তারা পিটিশন দিয়ে তাদের বক্তব্য জানালেন না?
আর ও পড়ুন চিকিৎসকের তৎপরতায় বিরল রোগ থেকে প্রাণে বাঁচলেন ৫৬ বছরের এক ব্যক্তি
ফিরহাদ বলেন, আসলে ওরা জাতপাত ধর্ম বর্ণ ভাষা সংস্কৃতি সব নিয়ে ডিভিশনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এটা ভারতবর্ষের কালচার নয়। তাই দিলীপ ঘোষরা কি বললেন সেটা কারোর দেখার বিষয় নয় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বিষয়ে যে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে চলেছেন বা চলেন এবং সকলকে একসাথে নিয়ে চলার থাকার যে দিশা দিয়েছেন তাই মানুষ গ্রহণ করেছে। ইউনিটি এবং ডাইভারসিটি আমার দেশের মূলমন্ত্র। আর সেটাকেই বাস্তবায়িত করার পথে চলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওরা যে সমালোচনা করে তা এদেশের মানুষ কখনই গ্রহণ করে না। সেই কারণে যত দিন যাচ্ছে মানুষের থেকে বিজেপি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওদের পাশে সাধারণ মানুষ নেই,। ওরা মনে করছে আগের মত বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে লোক এনে এখানে ভোটের সময় ভিড় জমাবে ন। কিন্তু ওদের বুঝতে হবে আর আগের মতো পরিস্থিতি নেই, এখন ডাকলে হাকলে লোক পাবে না ওরা। আগামী দিনে দেশের মসনদ থেকে ওদের যাবার সময় এসে গেছে সেটা ওদের বোঝা উচিত।