দিল্লি প্রসঙ্গে এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ ফিরহাদের

শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনই খাতায় সই করা নিয়ে অনীহা ফিরহাদের, বললেন, ''আমরা কি স্কুলে পড়ি নাকি

মঙ্গলবার দিল্লির কৃষিভবন রাত পর্যন্ত চলেচগে বিক্ষোভ। আর এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপিকে। বললেন, ‘মোদি সরকার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে কেন এত ভয় পাচ্ছে? যে ভাবে বিজেপি বাংলায় পরাস্ত হয়েছে। মোদি-শাহ নাকানিচোবানি খেয়েছে। সংগঠন ওদের ছিল না। আরও তলানিতে গেছে, এটাই আসল রাগ। সেই রাগের ফলশ্রুতি।’ অর্থাত্‍ রাজনৈতিক ভাবে পর্যুদস্ত বিজেপি তৃণমূলের আন্দোলনের উপর জোর-জুলুম করছে এই রাগের কারণেই, তেমনই অভিযোগ ফিরহাদের।

আরও পড়ুনঃ অভিষেকের মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করলো না ডিভিশন বেঞ্চ

তিনি আরও বলেছেন, ‘অভিষেক ইন্ডিয়া জোটের সদস্য। তাঁর বার্তা ছড়িয়ে গেলে মোদিবাবুর চেয়ার থাকবে না। রাজনীতি করতে হলে সরাসরি আমাদের সঙ্গে করুন। বাড়ির লোককে টানছেন কেন? কাপুরুষ এরা। মোদি সরকার এটাই করছে। মানসিকভাবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ভাঙার চেষ্টা করছে। ওই পরিবারের মানসিক শক্তি অনেক বেশি।’ সম্প্রতি অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। আগামী ৯ অক্টোবর ও ১১ অক্টোবর যথাক্রমে দু’জনকে তলব করা হয়েছে। সেই নিয়েই মত প্রকাশ করেন ফিরহাদ।

 

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই লড়তে পারছে না। তাই ইডি, সিবিআই। মোদি ক্ষমতায় এসে অমিত শাহকে ক্লিনচিট। আমি মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই আমি গ্রেফতার। ভাল এজেন্সিকে লোকে এখন ভাবছে ট্রাফিক পুলিশ।’

 

দিল্লিতে আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ”আমি গতকালের আন্দোলন নিয়ে উত্তেজিত। আমি দিল্লিতে রাজনীতি করি না। বাংলায় আন্দোলন, লাঠিচার্জ সব ছিল আমাদের ওপর। দীর্ঘ ১২ বছর এটা হয়নি। রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমাদের অভ্যাস রাখতে হবে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে। আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমরা বলতে গিয়েছিলাম দুর্নীতি হলে ব্যবস্থা নিন। কিন্তু অধিকারের টাকা দিন। মোদি-শাহ ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখন ভয় পেয়ে সাজ সাজ রব। মণিপুরে বাহিনী না পাঠিয়ে আমাদের আটকাতে পুলিশ দিয়েছে। মোদির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি এখন ফুস হয়ে ২৬ ইঞ্চি হয়ে গেছে।’ কিন্তু অধিকারের টাকা দিন। মোদি-শাহ ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখন ভয় পেয়ে সাজ সাজ রব। মণিপুরে বাহিনী না পাঠিয়ে আমাদের আটকাতে পুলিশ দিয়েছে। মোদির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি এখন ফুস হয়ে ২৬ ইঞ্চি হয়ে গেছে।’

en.wikipedia.org