বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য নিউটাউনে! দমদম সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দি অশোক হালদার সম্প্রতি জেল হেফাজতে কাটানোর পর জামিনে পেয়েছিল আদালতে। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি ঘটে ১৬ মার্চ। সেদিন সকালে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে অশোক। এরপর তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত্যু হয় অশোকের। এই মৃত্যু ঘিরে সেদিনই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অশোকের দেহ ময়নাতদন্তের পর এদিন দেহ গিয়ে পৌঁছায় নিউটাউন থানা অন্তর্গত সুলংগুড়ি কলোনি পাড়ায়। সেখানেই বাড়ি মৃত অশোক হালদারের। এদিন এলাকায় দেহ পৌঁছাতেই ফের ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়।
এরপর আদালতের নির্দেশে জামিন পায় অশোক। কিন্তু জামিনে মুক্তির দিনেই সকাল ১০ টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, অশোককে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় অশোকের। দেহের ময়নাতদন্তের পর এদিন অশোকের দেহ নিউটাউনে পৌঁছালে নতুন করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। উত্তেজনার ছড়িয়েছে সুলংগুড়ি কলোনি পাড়া এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল অশোক হালদারকে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই কাঠ ব্যবসায়ী শঙ্করলাল যোশীকেও এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জামিনে মুক্তির সকালে সংশোধনাগারে কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন – ভারত-বাংলাদেশ পাইপলাইনের উদ্বোধন মোদী-হাসিনার,তেল যাবে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকা
জানা যাচ্ছে, নিউটাউন সুলংগুরি এলাকার বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি অশোক হালদারকে গত ২৫ তারিখে গ্রেফতার করেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। অশোক ও তার বন্ধু বাবলু হাজরা পাওনার টাকা আদায়ের জন্য শঙ্করলাল যোশি নামে এলাকারই এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরই ওই কাঠব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালেই পুলিশের কাছে বয়ানে অশোক ও বাবলুর নাম নেয় ওই কাঠ ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অশোক হালদারকে গ্রেফতার করে। আদালত থেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হলে তাকে পাঠানো হয় দমদম সংশোধনাগারে।