বিষ খেয়ে অসুস্থ যুবক, ওসির মানবিক উদ্যোগে রক্ষা পেল প্রাণ

জলপাইগুড়ি – রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ এক মধ্যবয়স্ক যুবক টোটোতে করে রাজগঞ্জের ফাঁটা পুকুর ট্রাফিক পোস্টের কাছে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশ এবং সাধারণ মানুষ ছুটে এসে দেখেন, ওই যুবক বিষপান করেছেন।খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত ফাঁটা পুকুর ট্রাফিক পুলিশের ওসি বাপ্পা সাহা। তিনি পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তৎক্ষণাৎ যুবককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।সামনে তখন কোনো যানবাহন না পেয়ে তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন পানিকাউরি অঞ্চলের প্রধান পাপিয়া সরকারকে দেখতে পান। তিনি নিজের স্কুটিতে রাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। ওসি বাপ্পা সাহা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অনুরোধ করেন স্কুটি দেওয়ার জন্য। পাপিয়া সরকারও মুহূর্তে কোনো দ্বিধা না করে নিজের স্কুটি ছেড়ে দেন। এরপর ওসি সাহা সেই স্কুটিতে অসুস্থ যুবককে বসিয়ে দ্রুত রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছে দেন।হাসপাতালে যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবার পৌঁছানোর পর যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।এই বিষয়ে পাপিয়া সরকার জানান, “আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখলাম ভিড়। এরপর ওসি সাহা আমাকে দেখে আমার স্কুটি চেয়ে বসেন। আমি সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দিই। পরে জানতে পারি একজন বিষ খেয়ে পড়েছিলেন, পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পুলিশের এই মানবিক রূপ সত্যিই প্রশংসনীয়।”পরিবার সূত্রে জানা যায়, যুবকের নাম ইসলাম আলী (২৬), বাড়ি রাজগঞ্জ মালিপাড়া এলাকায়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন তিনি। মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে।ইসলামের এক আত্মীয় বলেন, “পুলিশ না থাকলে হয়তো ভাইটা আর বাঁচত না। বাপ্পা সাহা যেভাবে সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেটা সত্যিই কৃতজ্ঞতার যোগ্য। পুলিশের জন্যই ভাই আজ বেঁচে গেল।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp

বিষ খেয়ে অসুস্থ যুবক, ওসির মানবিক উদ্যোগে রক্ষা পেল প্রাণ

জলপাইগুড়ি – রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ এক মধ্যবয়স্ক যুবক টোটোতে করে রাজগঞ্জের ফাঁটা পুকুর ট্রাফিক পোস্টের কাছে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশ এবং সাধারণ মানুষ ছুটে এসে দেখেন, ওই যুবক বিষপান করেছেন।খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত ফাঁটা পুকুর ট্রাফিক পুলিশের ওসি বাপ্পা সাহা। তিনি পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তৎক্ষণাৎ যুবককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।সামনে তখন কোনো যানবাহন না পেয়ে তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন পানিকাউরি অঞ্চলের প্রধান পাপিয়া সরকারকে দেখতে পান। তিনি নিজের স্কুটিতে রাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। ওসি বাপ্পা সাহা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অনুরোধ করেন স্কুটি দেওয়ার জন্য। পাপিয়া সরকারও মুহূর্তে কোনো দ্বিধা না করে নিজের স্কুটি ছেড়ে দেন। এরপর ওসি সাহা সেই স্কুটিতে অসুস্থ যুবককে বসিয়ে দ্রুত রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছে দেন।হাসপাতালে যুবকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবার পৌঁছানোর পর যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।এই বিষয়ে পাপিয়া সরকার জানান, “আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখলাম ভিড়। এরপর ওসি সাহা আমাকে দেখে আমার স্কুটি চেয়ে বসেন। আমি সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দিই। পরে জানতে পারি একজন বিষ খেয়ে পড়েছিলেন, পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পুলিশের এই মানবিক রূপ সত্যিই প্রশংসনীয়।”পরিবার সূত্রে জানা যায়, যুবকের নাম ইসলাম আলী (২৬), বাড়ি রাজগঞ্জ মালিপাড়া এলাকায়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন তিনি। মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে।ইসলামের এক আত্মীয় বলেন, “পুলিশ না থাকলে হয়তো ভাইটা আর বাঁচত না। বাপ্পা সাহা যেভাবে সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেটা সত্যিই কৃতজ্ঞতার যোগ্য। পুলিশের জন্যই ভাই আজ বেঁচে গেল।”

দেশ

বিদেশ

কলকাতা

বিনোদন

খেলা

আরও পড়ুন

Scroll to Top